“কালাইয়ে দিনব্যাপী নবান্ন উৎসবে বসেছে মাছের মেলা”
মোঃ জাহিদুল ইসলাম, কালাই (জয়পুরহাট) প্রতিনিধিঃ
মোঃ জাহিদুল ইসলাম, কালাই (জয়পুরহাট) প্রতিনিধিঃ
ভোরের হিমে জয়পুরহাটের কালাই উপজেলায় এখনই শীতের আমেজ। ঘন কুয়াশায় খানিক দূরের দৃশ্য ঝাপসা। এর মধ্যেই গত শুক্রবার(১৮/১১/২০২২)তারিখ এ কালাই-মোকামতলা মহাসড়কের পাশে কালাই পৌরসভার পাঁচশিরা বাজার থেকে মাছ ব্যবসায়ীদের কন্ঠে ভেসে আসছিল, ‘মাছ…ভাই…,বড়..বড় মাছ..,পুকুর, দিঘী ও নদীর মাছ। বাঁচা মাছ, খুব স্বাদের মাছ, দেখে যান, নিয়ে যান, এ মাছ ফুরাইলে আর পাবেনা ভাই…। ৩ থেকে ১৮ কেজির কাতলা, রুই, মৃগেল, ব্রিগেড, সিলভার, পাঙ্গাস মাছ। এভাবেই বলছিলেন তারা। সেখানে সুন্দর করে সাজানো কাতলা, রুই, মৃগেল, চিতল, ব্র্যাককার্প, গ্রাসকার্প, কার্ফু, কালবাউশ, ব্রিগেড, সিলভার কার্পসহ হরেক রকমের মাছ। সেখানে ভোর থেকে বছেসে সারি সারি মাছের দোকান। চলছে হাঁকডাক ও দরদাম। তিন কেজি থেকে শুরু করে ১৮ কেজি ওজনের বড় মাছ। মাছের আকার অনুযায়ী প্রতি কেজি মাছ ২শ ৫০ থেকে ৯শ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে ক্রেতারাও ব্যাপক উৎসাহের সঙ্গে কিনছেন ঐসব মাছ। আবার দেখতে এসেছেন অনেকেই। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও শুক্রবার জয়পুরহাটের কালাই পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের পাঁচশিরা বাজারে নবান্ন উৎসবকে কেন্দ্র করে বসেছে মাছের মেলা। তবে এই মাছের মেলায় শুধুই মাছ কেনার বিষয় নয়, আছে একধরনের জামাই-মেয়েদের কেনার প্রতিযোগিতা। কোন জামাই কত বড় মাছ কিনলেন, সেটাই আসল বিষয়। প্রতিযোগিতায় নীরব অংশগ্রহণ করে শ্বশুরেরা। এ অগ্রহায়ণ মাসে নবান্ন উৎসব উপলক্ষে বসেছে উপজেলার পাঁচশিরা বাজারে প্রায় ঢের যুগের এই মাছের মেলা। মেলায় অংশ নেন উপজেলার মাত্রাই, উদয়পুর, পুনট, জিন্দারপুর, আহম্মোবাদ ইউনিয়ন ও কালাই পৌরসভার শতাধিক গ্রাম-মহল্লার মানুষেরা। এই মেলা কেন্দ্র করে ঘরে ঘরে এ উৎসবকে ঘিরে প্রতিটি বাড়িতেই মেয়ে-জামাইসহ স্বজনদের আগে থেকেই দাওয়াত দেওয়া হয়। দেশের বিভিন্ন প্রান্তর থেকে শত..শত মানুষ উৎসব দেখতে আসেন। এ দিনটিকে ঘিরে এখানে দিনব্যাপী চলে মাছ কেনা ও বিক্রি করার উৎসব। কালাই পৌরসভার পাঁচশিরা বাজারে মাছ নিয়ে বসেছেন ব্যবসায়ীরা। মেলায় উঠেছে বড় বড় সব মাছ। অর্ধশতাধিক দোকানে এসব মাছের পসরা সাজিয়ে বসেন দোকানিরা। দূর-দূরান্তর থেকে দলে দলে লোকজন মেলায় এসেছেন মাছ কিনতে। ক্রেতারা মাছের দাম হাকাচ্ছেন, কিনছেন, আবার কেউ কেউ সেলফি তুলতেও ব্য¯’ । শুধু সেলফি তুলেই শেষ নয়। মাছ মেলার ছবি দিয়ে কেউ কেউ আবার ঝড় তুলছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও। এই মাছের পাশাপাশি বিভিন্ন পণ্যের পসরা বসেছিল এই মেলায়। ক্রেতারা খালিহাতে ফিরছেন না কেউ। সবাই সামর্থ্য অনুযায়ী মাছ কিনে খুশিমনে বাড়ি ফিরছেন। মেলা উপলক্ষে আশপাশের গ্রাম-মহল্লায় বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। নাইওর এসেছেন মেয়ে ও জামাই। নিমন্ত্রণ করা হয়েছে আত্মীয়-স্বজনকেও। মেলা উপলক্ষে ওই যেন এলাকায় ঈদের আনন্দ বিরাজ করছিল। এই দিনটির জন্য পুরো বছর অপেক্ষায় থাকেন কালাই উপজেলাবাসি।
মেলার পাশের বেগুন গ্রামে বেড়াতে এসেছেন তানিয়া বেগম। তিনি বলেন, বেগুন গ্রামে থেকে স্বামীকে নিয়ে মাছের মেলায় ঘুরতে এসেছেন। মেলাটির নাম আগেই থেকে জানি, কিš‘ আসা হয়না কখনো। মেলায় এসে বড় বড় মাছ দেখছি। অনেক আনন্দ লাগছে। ঘুরেফিরে মেলা থেকে স্বাদ ও সাধ্যের কথা মাথায় রেখে পছন্দের মাছটি কিনবেন বলে জানান তিনি।
মেলায় মাছ কিনতে আসা জাহিদুল ইসলাম নামে এক জামাই বলেন, অন্য বছরের চাইতে এবার মাছের দাম একটু বেশী। তবে যাই হউক না কেন এই মেলা থেকে ১২ কেজি ওজনের একটি কাতলা মাছ ১০হাজার টাকায় কিনে নিয়ে শশুর বাড়ি যাচ্ছি।
পাশের বাইগুনি গ্রামের বাসিন্দা মুনীশ চৌধুরী বলেন, প্রায় ঢের যুগের ঐতিহ্যবাহী মেলাটি যেমন মাছের জন্য বিখ্যাত, তেমনি এই এলাকায় ধান-আলুতেও ভরপুর থাকে। এ কারণে আশপাশের লোকজন মেলায় ছুটে আসে।
এই মেলায় মাছ বিক্রেতা আব্দুল লতিফ বলেন, মেলায় ছোট-বড় মিলে অর্ধশতাধিক মাছের দোকান বসেছে। মাছের মেলাতে বড় পুকুর, দিঘি ও নদী থেকে নানান জাতের বড় বড় মাছ সংগ্রহ করা হয়েছে। কাতলা, রুই, মৃগেল ব্রিগেড, সিলভার ৮শ’ থেকে ৯শ’ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। আর মাঝারি আকারের মাছ ২৫০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হ”েছ। অন্য বছরের তুলনায় এবার ক্রেতা বেশি। তাই মাছও বিক্রি হ”েছ বেশি। দামও ছিল স্বাভাবিক।
সেখানে আরেক জন মাছ বিক্রেতা আব্দুল ওহাব বলেন, আমি প্রতিবছরই এ মেলায় মাছ বিক্রি জন্য আসি। বর্তমান সবজিনিসের দাম বৃদ্ধি,তবে মাছের বাজারে তুলনায় মাছের দাম বেশি হলেও সবাই আনন্দের সঙ্গে মাছ কিনছেন। এবার মাছ নিয়ে বিপাকে পড়তে হবেনা। প্রত্যেক বিক্রেতা অন্তত ৮ থেকে ১০ মণ করে মাছ বিক্রি করেন। তাছাড়া লাভও মোটামুটি হবে।
মেলা সম্পর্কে কালাই পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তোফিকুল ইসলাম তৌহিদ বলেন, এই মাছের মেলাটি এ অঞ্চলের ঐতিহ্যের ধারক। মেলায় বেচাকেনা যতই হোক না কেন, এ মেলা আমাদের ঐতিহ্য আর সংস্কৃতিকে বহন করছে, এটাই সবচেয়ে বড় কথা।
কালাই উপজেলা মৎস্য সহকারী কর্মকর্তা মো. আনোয়ার আলী বলেন, এই মেলাকে ঘিরে এলাকায় উৎসব মুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়। আর এই মেলাকে লক্ষ্যে করে স্থানীয় বড় মাছ ব্যবসায়ীরা ও মাছ চাষিরা বিভিন্ন এলাকা থেকে সপ্তাহখানেক ধরে বড় বড় মাছ সংগ্রহ করে থাকেন। মেলায় কেউ যেনো বিষাযুক্ত মাছ বিক্রি করতে না পারে সেদিকে আমাদের কঠোর নজরদারি রয়েছে।
মোঃ জাহিদুল ইসলাম
কালাই (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি
মোবাঃ-০১৭৮৫৩৫২৫৫৮
মেলার পাশের বেগুন গ্রামে বেড়াতে এসেছেন তানিয়া বেগম। তিনি বলেন, বেগুন গ্রামে থেকে স্বামীকে নিয়ে মাছের মেলায় ঘুরতে এসেছেন। মেলাটির নাম আগেই থেকে জানি, কিš‘ আসা হয়না কখনো। মেলায় এসে বড় বড় মাছ দেখছি। অনেক আনন্দ লাগছে। ঘুরেফিরে মেলা থেকে স্বাদ ও সাধ্যের কথা মাথায় রেখে পছন্দের মাছটি কিনবেন বলে জানান তিনি।
মেলায় মাছ কিনতে আসা জাহিদুল ইসলাম নামে এক জামাই বলেন, অন্য বছরের চাইতে এবার মাছের দাম একটু বেশী। তবে যাই হউক না কেন এই মেলা থেকে ১২ কেজি ওজনের একটি কাতলা মাছ ১০হাজার টাকায় কিনে নিয়ে শশুর বাড়ি যাচ্ছি।
পাশের বাইগুনি গ্রামের বাসিন্দা মুনীশ চৌধুরী বলেন, প্রায় ঢের যুগের ঐতিহ্যবাহী মেলাটি যেমন মাছের জন্য বিখ্যাত, তেমনি এই এলাকায় ধান-আলুতেও ভরপুর থাকে। এ কারণে আশপাশের লোকজন মেলায় ছুটে আসে।
এই মেলায় মাছ বিক্রেতা আব্দুল লতিফ বলেন, মেলায় ছোট-বড় মিলে অর্ধশতাধিক মাছের দোকান বসেছে। মাছের মেলাতে বড় পুকুর, দিঘি ও নদী থেকে নানান জাতের বড় বড় মাছ সংগ্রহ করা হয়েছে। কাতলা, রুই, মৃগেল ব্রিগেড, সিলভার ৮শ’ থেকে ৯শ’ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। আর মাঝারি আকারের মাছ ২৫০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হ”েছ। অন্য বছরের তুলনায় এবার ক্রেতা বেশি। তাই মাছও বিক্রি হ”েছ বেশি। দামও ছিল স্বাভাবিক।
সেখানে আরেক জন মাছ বিক্রেতা আব্দুল ওহাব বলেন, আমি প্রতিবছরই এ মেলায় মাছ বিক্রি জন্য আসি। বর্তমান সবজিনিসের দাম বৃদ্ধি,তবে মাছের বাজারে তুলনায় মাছের দাম বেশি হলেও সবাই আনন্দের সঙ্গে মাছ কিনছেন। এবার মাছ নিয়ে বিপাকে পড়তে হবেনা। প্রত্যেক বিক্রেতা অন্তত ৮ থেকে ১০ মণ করে মাছ বিক্রি করেন। তাছাড়া লাভও মোটামুটি হবে।
মেলা সম্পর্কে কালাই পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তোফিকুল ইসলাম তৌহিদ বলেন, এই মাছের মেলাটি এ অঞ্চলের ঐতিহ্যের ধারক। মেলায় বেচাকেনা যতই হোক না কেন, এ মেলা আমাদের ঐতিহ্য আর সংস্কৃতিকে বহন করছে, এটাই সবচেয়ে বড় কথা।
কালাই উপজেলা মৎস্য সহকারী কর্মকর্তা মো. আনোয়ার আলী বলেন, এই মেলাকে ঘিরে এলাকায় উৎসব মুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়। আর এই মেলাকে লক্ষ্যে করে স্থানীয় বড় মাছ ব্যবসায়ীরা ও মাছ চাষিরা বিভিন্ন এলাকা থেকে সপ্তাহখানেক ধরে বড় বড় মাছ সংগ্রহ করে থাকেন। মেলায় কেউ যেনো বিষাযুক্ত মাছ বিক্রি করতে না পারে সেদিকে আমাদের কঠোর নজরদারি রয়েছে।
মোঃ জাহিদুল ইসলাম
কালাই (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি
মোবাঃ-০১৭৮৫৩৫২৫৫৮
বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলায় নবান্ন উৎসব উপলক্ষে ঐতিহাসিক মহাস্থান বাজারে বসেছে শত বছরের ঐতিহ্যবাহী মাছের মেলা। মেলায় ছোট-বড় সব ধরনের মাছ পাওয়া যাচ্ছে।
মোঃ ফরহাদ হোসেন, বগুড়া প্রতিনিধিঃ
শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত উপজেলার মহাস্থান বাজারে দুর-দুরান্তের মানুষ আসেন মাছ কিনতে। মেলা উপলেক্ষে এ এলাকার প্রতিটি বাড়িতে বড় বড় মাছ ও নতুন সবজি কিনে স্বজনদের আপ্যায়নের আয়োজন চলছে। জানা যায়, পঞ্জিকা অনুসারে অগ্রহায়ণের প্রথমেই শিবগঞ্জের মহাস্থান বাজারে এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়। এদিন নবান্ন উৎসব পালন করা হলেও এ উৎসবকে কেন্দ্র করেই প্রতিবছর মাছের মেলা বসে।
সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত এ মেলায় এক হাজার মণেরও বেশি মাছ কেনাবেচা হয়েছে। এক কেজি থেকে শুরু করে ২০ কেজি ওজনের বাঘার মাছ, ১৬ কেজি ওজনের ব্ল্যাক কার্প, ১৫ কেজি ওজনের কাতল, রুই, ব্রিগেড, বাগার, সিলভার কার্পসহ হরেক রকমের মাছ বিক্রি হয় এ মেলায়। তবে গত বছরের তুলনায় এবার মাছের দাম অনেকটায় কম বলে জানিয়েছেন ক্রেতা ও বিক্রেতারা। মেলায় বিশালাকৃতির রুই-কাতলা ও মাছগুলো ৫০০ থেকে ১ হাজার টাকা কেজিতে বিক্রি হলেও মাঝারি আকারের মাছ ২০০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। এছাড়া ২৪০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা দরে ব্ল্যাক কার্প, ব্রিগেড ও সিলভার কার্প মাছ বেচাকেনা হয়। মেলায় মাছের পাশাপাশি নতুন শাক-সবজির পসরাও সাজানো হয়। মেলায় নতুন আলু বিক্রি হয়েছে ২০০ থেকে ২২০ টাকা কেজি দরে। এছাড়া মিষ্টি আলু ও কেশর (ফল) প্রতিকেজি ১৫০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে।
মেলায় আসা কয়েকজন মাছ ব্যবসায়ীদের সাথে কথা জানা যায়, মেলায় ছোট-বড় মিলে শতাধিক মাছের দোকান বসেছে। প্রত্যেক বিক্রেতা ৫ থেকে ১০ মণ করে মাছ বিক্রি করেছেন। মেলায় মাছ সরবরাহের জন্য গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে ২০টি আড়ৎ খোলা হয়। সেসব আড়ৎ থেকে স্থানীয় বিক্রেতারা পাইকারি দরে মাছ কিনে মেলায় খুচরা বিক্রি করেন। তারা বলেন, মহাস্থান নবান্ন মেলায় বিক্রির জন্য আশপাশের এলাকার পুকুরগুলোতে সৌখিন চাষিরা মাছ মজুদ করে রাখেন। এলাকার কে কত বড় মাছ মেলায় তুলতে পারে যেন তারই প্রতিযোগিতা চলে চাষিদের মধ্যে। এছাড়া আড়ৎদাররা তো আছেই। তারা আরও বলেন, এলাকার লোকজনও প্রায় প্রতিযোগিতা করে তুলনামূলক বড় মাছ কিনে বাড়িতে নিয়ে যায়। মূলত সনাতন ধর্মাবলম্বীরা নবান্ন উৎসব করলেও আশপাশের গ্রামের সব সম্প্রদায়ের মানুষই কেনাকাটা করে।
মহাস্থান বাজারের ইজারাদার ইব্রাহিম হোসেন বলেন, মেলাটি আগে ক্ষুদ্র পরিসরে হলেও সম্প্রতি তা ব্যাপকতা লাভ করেছে। শুধু আশপাশেরই নয় পুরো শিবগঞ্জ উপজেলার মানুষ এখানে নবান্নের বাজার করতে আসেন। মাছের মেলার খবর পেয়ে শহর থেকেও অনেকে আসেন মাছ কিনতে।
মোঃ ফরহাদ হোসেন
বগুড়া প্রতিনিধি
০১৭৫৫৪২৭৭৯২